পাত সংস্থান তত্ত্বের আলোকে ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি আলোচনা

by Scholario Team 57 views

ভূ-পৃষ্ঠের অন্যতম বিস্ময় হলো ভঙ্গিল পর্বতমালা। সুউচ্চ শৃঙ্গ, গভীর খাদ এবং বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে এদের অবস্থান প্রকৃতিকে দিয়েছে ভিন্নতা। কিন্তু এই পর্বতগুলো কীভাবে তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে সবসময়ই আগ্রহ ছিল। আধুনিক পাত সংস্থান তত্ত্ব (Plate Tectonics) ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তির একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছে। আজকের আলোচনা পাত সংস্থান তত্ত্বের আলোকে ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি এবং এর পেছনের কারণগুলো নিয়ে।

পাত সংস্থান তত্ত্ব (Plate Tectonics): একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা

ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তির কারণ জানতে হলে প্রথমে পাত সংস্থান তত্ত্ব সম্পর্কে একটা ধারণা থাকা দরকার। এই তত্ত্ব অনুসারে, পৃথিবীর বহিরাবরণ বা লিথোস্ফিয়ার (Lithosphere) কতগুলো খণ্ড খণ্ড প্লেট দিয়ে গঠিত। এই প্লেটগুলো গুরুমণ্ডল বা অ্যাসথেনোস্ফিয়ারের (Asthenosphere) উপরে খুব ধীরে ধীরে চলমান। এই চলন্ত প্লেটগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ, প্রসারণ অথবা পাশাপাশি সরানোর ফলে নানা ধরনের ভূ-গঠনিক প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। এই প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি।

পাত সংস্থান তত্ত্ব আমাদের জানায় যে পৃথিবীর উপরিভাগ কতগুলো বিশাল প্লেট দিয়ে গঠিত, যা একটি দুর্বল স্তরের (অ্যাসথেনোস্ফিয়ার) উপরে ভাসছে। এই প্লেটগুলো বছরে কয়েক সেন্টিমিটার করে নড়াচড়া করে। এই নড়াচড়ার ফলে প্লেটগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হয়, একে অপরের থেকে দূরে সরে যায়, অথবা একে অপরের পাশ দিয়ে চলে যায়। এই তিনটি ভিন্ন ধরনের গতির কারণে পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যার মধ্যে ভঙ্গিল পর্বত অন্যতম।

পাতগুলো মূলত দুই ধরনের – ভূ-ত্বকী প্লেট (Continental Plate) এবং ** oceanic প্লেট** (Oceanic Plate)। এদের ঘনত্ব এবং উপাদানের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যেমন, মহাসাগরীয় প্লেটগুলো সাধারণত ভারী এবং ব্যাসাল্ট শিলা দ্বারা গঠিত, অন্যদিকে মহাদেশীয় প্লেটগুলো হালকা এবং গ্রানাইট শিলা দ্বারা গঠিত। এই পার্থক্যের কারণে যখন দুটি প্লেট সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন তাদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, যা ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পাত সংস্থান তত্ত্বের মূল ধারণা হলো, পৃথিবীর উপরিভাগ কয়েকটি বিশাল এবং ছোট প্লেটে বিভক্ত, যা একটি গতিশীল সিস্টেমে আবদ্ধ। এই প্লেটগুলো একে অপরের সাথে взаимодейিত হওয়ার মাধ্যমে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি এবং পর্বতমালাসহ বিভিন্ন ভূ-গঠনিক প্রক্রিয়া ঘটায়। এই তত্ত্ব ভূতত্ত্ব, ভূ-কম্পনবিদ্যা এবং সমুদ্রবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের পৃথিবীকে বুঝতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি কীভাবে হয়, তা জানতে এই তত্ত্বের জ্ঞান অপরিহার্য।

ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তির প্রক্রিয়া

ভঙ্গিল পর্বতমালা সৃষ্টির প্রধান কারণ হলো দুটি পাতের মধ্যে সংঘর্ষ। এই সংঘর্ষ বিভিন্ন উপায়ে সংঘটিত হতে পারে, যার ফলে বিভিন্ন ধরনের ভঙ্গিল পর্বত তৈরি হয়। নিচে কয়েকটি প্রধান প্রক্রিয়া আলোচনা করা হলো:

১. দুটি মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষ (Collision of Two Continental Plates)

যখন দুটি মহাদেশীয় পাত (Continental Plates) একে অপরের দিকে অগ্রসর হয়, তখন তাদের মধ্যে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়। যেহেতু মহাদেশীয় পাতগুলো হালকা এবং কম ঘনত্বের শিলা দিয়ে গঠিত, তাই একটি পাতের নিচে অন্যটি প্রবেশ করতে পারে না। ফলে, উভয় পাতের শিলাস্তর ভাঁজ (Fold) হয়ে উপরে উঠতে শুরু করে এবং ভঙ্গিল পর্বতমালা তৈরি করে। হিমালয় পর্বতমালা এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। ভারতীয় পাত এবং ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের ফলে এই বিশাল পর্বতমালা গঠিত হয়েছে। এই সংঘর্ষের সময় পলি sediment, শিলা এবং অন্যান্য উপাদান প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়ে ভাঁজ হয়ে পর্বত রূপে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।

এই প্রক্রিয়ায়, সংঘর্ষের ফলে ভূত্বকের শিলাগুলোতে ব্যাপক compression এবং deformation ঘটে। শিলাস্তরগুলো কুঁচকে গিয়ে বিশাল আকারের ভাঁজের সৃষ্টি করে, যা পরবর্তীতে পর্বতের রূপ নেয়। এই ভাঁজগুলো সাধারণত কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। শুধু তাই নয়, সংঘর্ষের কারণে শিলাগুলোতে ফাটল এবং চ্যুতির (Fault) সৃষ্টি হয়, যা পর্বতমালাকে আরও জটিল গঠন দেয়। হিমালয় পর্বতমালার গঠন প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, এখানে অসংখ্য ভাঁজ এবং চ্যুতি বিদ্যমান, যা এই অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক জটিলতার প্রমাণ দেয়।

মহাদেশীয় পাতগুলোর সংঘর্ষ একটি ধীর প্রক্রিয়া। হিমালয় পর্বতমালার কথাই যদি ধরা হয়, তবে ভারতীয় পাত এবং ইউরেশীয় পাতের মধ্যে সংঘর্ষ প্রায় ৫ কোটি বছর আগে শুরু হয়েছিল, এবং এটি এখনও চলছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই দুটি পাতের ক্রমাগত সংঘর্ষের কারণে হিমালয়ের উচ্চতা এখনও বাড়ছে। এই ধীরগতির সংঘর্ষের ফলে শিলাগুলোর মধ্যে যে পরিমাণ চাপ সৃষ্টি হয়, তা পর্বতমালা গঠনের জন্য যথেষ্ট।

২. একটি মহাসাগরীয় পাত এবং একটি মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষ (Collision of an Oceanic Plate and a Continental Plate)

যখন একটি মহাসাগরীয় পাত (Oceanic Plate) এবং একটি মহাদেশীয় পাত (Continental Plate) একে অপরের দিকে অগ্রসর হয়, তখন অপেক্ষাকৃত ভারী মহাসাগরীয় পাতটি মহাদেশীয় পাতের নিচে ডুবে যায় (Subduction)। এই প্রক্রিয়াকে সাবডাকশন (Subduction) বলা হয়। সাবডাকশনের সময় মহাসাগরীয় পাতের শিলাগুলো প্রচণ্ড চাপ ও তাপে গলে ম্যাগমাতে পরিণত হয়। এই ম্যাগমা ভূ-পৃষ্ঠের দুর্বল স্থান দিয়ে উপরে উঠে আগ্নেয়গিরি (Volcano) তৈরি করে। একইসাথে, পাতের সংঘর্ষের ফলে মহাদেশীয় প্রান্তের শিলাস্তর ভাঁজ হয়ে ভঙ্গিল পর্বতমালা গঠন করে। আন্দিজ পর্বতমালা (Andes Mountains) এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।

সাবডাকশন প্রক্রিয়ার সময়, মহাসাগরীয় পাতটি যখন মহাদেশীয় পাতের নিচে প্রবেশ করে, তখন এটি গভীর সমুদ্রখাত (Oceanic Trench) তৈরি করে। এই খাতগুলো পৃথিবীর গভীরতম স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। উদাহরণস্বরূপ, পেরু-চিলি ট্রেঞ্চ আন্দিজ পর্বতমালার পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত, যা এই অঞ্চলের সাবডাকশন প্রক্রিয়ার ফল। এই ট্রেঞ্চগুলো শুধু গভীরতাই নয়, বরং ভূতাত্ত্বিক কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দুও বটে।

মহাদেশীয় পাতের প্রান্তভাগে accumulation হওয়া শিলা এবং sediment প্রচণ্ড চাপের কারণে ভাঁজ হয়ে উপরে ওঠে এবং পর্বতের সৃষ্টি করে। একইসঙ্গে, সাবডাকশন জোনে ম্যাগমা rising-এর কারণে আগ্নেয়গিরি গঠিত হয়, যা পর্বতমালাকে আরও উঁচু এবং জটিল করে তোলে। আন্দিজ পর্বতমালায় অসংখ্য সক্রিয় আগ্নেয়গিরি দেখা যায়, যা এই অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক সক্রিয়তার পরিচায়ক।

৩. দুটি মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষ (Collision of Two Oceanic Plates)

দুটি মহাসাগরীয় পাত (Oceanic Plates) যখন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন একই ধরনের সাবডাকশন প্রক্রিয়া ঘটে। অপেক্ষাকৃত পুরনো এবং ভারী পাতটি অন্যটির নিচে ডুবে যায়। এই সাবডাকশনের ফলে সমুদ্রের তলদেশে আগ্নেয়গিরি এবং দ্বীপের সারি (Island Arcs) তৈরি হয়। ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ এবং জাপান দ্বীপপুঞ্জ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এখানে একটি মহাসাগরীয় পাত অন্যটির নিচে ডুবে গিয়ে আগ্নেয়গিরি এবং দ্বীপ সৃষ্টি করেছে, যা পরবর্তীতে ভঙ্গিল পর্বতের রূপ নিয়েছে।

এই প্রক্রিয়ায়, সাবডাকশনের ফলে সৃষ্ট ম্যাগমা সমুদ্রের তলদেশে rising হয়ে আগ্নেয়গিরি তৈরি করে। সময়ের সাথে সাথে এই আগ্নেয়গিরিগুলো বাড়তে বাড়তে সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরে উঠে আসে এবং দ্বীপের আকার ধারণ করে। যখন একাধিক আগ্নেয়গিরি একটি সারিতে তৈরি হয়, তখন সেগুলোকে দ্বীপমালা বলা হয়। ফিলিপাইন এবং জাপানের দ্বীপগুলো মূলত এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে।

দ্বীপমালাগুলো সাধারণত ভঙ্গিল পর্বত দ্বারা গঠিত হয়। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নির্গত লাভা এবং অন্যান্য উপাদান জমা হয়ে পর্বতের ভিত্তি তৈরি করে। এরপর পাতের সংঘর্ষের কারণে শিলাস্তর ভাঁজ হয়ে পর্বতের উচ্চতা বৃদ্ধি করে। এই পর্বতগুলো শুধু দ্বীপের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না, বরং স্থানীয় জলবায়ু এবং বাস্তুসংস্থানের ওপরও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Fold Mountains)

ভঙ্গিল পর্বতগুলোর কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এদেরকে অন্যান্য পর্বত থেকে আলাদা করে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো পর্বতগুলোর গঠন, শিলা এবং ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসের প্রতিফলন ঘটায়। নিচে কয়েকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো:

  • উচ্চতা ও বিস্তার (Height and Extent): ভঙ্গিল পর্বতমালা সাধারণত খুব উঁচু এবং দীর্ঘ হয়ে থাকে। এদের শৃঙ্গগুলো সুউচ্চ এবং অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। হিমালয়, আন্দিজ এবং আল্পস পর্বতমালা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এবং দীর্ঘ ভঙ্গিল পর্বতগুলোর মধ্যে অন্যতম।
  • ভাঁজ ও চ্যুতি (Folds and Faults): ভঙ্গিল পর্বতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো শিলাস্তরে ভাঁজ এবং চ্যুতির উপস্থিতি। পাতের সংঘর্ষের ফলে শিলাস্তরগুলোতে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়, যার কারণে এরা ভাঁজ হয়ে যায়। এছাড়াও, শিলাস্তরে ফাটল এবং চ্যুতি দেখা যায়, যা পর্বতমালাকে জটিল গঠন দেয়।
  • আগ্নেয়গিরি (Volcanoes): কিছু ভঙ্গিল পর্বতমালায় সক্রিয় বা সুপ্ত আগ্নেয়গিরি দেখা যায়। বিশেষ করে, যে পর্বতমালাগুলো পাত সীমানার কাছাকাছি অবস্থিত, সেখানে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আন্দিজ পর্বতমালায় অসংখ্য সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
  • ভূমিকম্প (Earthquakes): ভঙ্গিল পর্বতমালা অঞ্চলে ভূমিকম্প একটি সাধারণ ঘটনা। পাতের চলন এবং সংঘর্ষের কারণে এই অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। হিমালয় পর্বতমালা এবং আন্দিজ পর্বতমালা ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।
  • শিলা (Rocks): ভঙ্গিল পর্বতে বিভিন্ন ধরনের শিলা দেখা যায়। পাললিক শিলা (Sedimentary rocks), রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic rocks) এবং আগ্নেয় শিলা (Igneous rocks)-এর উপস্থিতি এই পর্বতগুলোর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসকে তুলে ধরে।

ভঙ্গিল পর্বতের গুরুত্ব (Importance of Fold Mountains)

ভঙ্গিল পর্বতমালা শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়, মানুষের জীবন এবং পরিবেশের উপরও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এর কিছু উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • জলবায়ুর উপর প্রভাব (Impact on Climate): পর্বতমালা বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে, যা অঞ্চলের বৃষ্টিপাত এবং তাপমাত্রার ধরনে পরিবর্তন আনে। পর্বতের একপাশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় (Or​​ographic Rainfall), অন্যদিকে অন্য পাশ তুলনামূলকভাবে শুষ্ক থাকে।
  • নদীর উৎস (Source of Rivers): অনেক বড় নদীর উৎস হলো ভঙ্গিল পর্বতমালা। বরফ গলা পানি এবং বৃষ্টির পানি থেকে নদীর সৃষ্টি হয়, যা পরবর্তীতে সমভূমিতে প্রবাহিত হয়ে সেচ এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়।
  • খনিজ সম্পদ (Mineral Resources): ভঙ্গিল পর্বতমালায় বিভিন্ন ধরনের খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়। কয়লা, পেট্রোলিয়াম, গ্যাস এবং অন্যান্য মূল্যবান খনিজ এই অঞ্চলে সঞ্চিত থাকে।
  • জীববৈচিত্র্য (Biodiversity): ভঙ্গিল পর্বতমালা বিভিন্ন प्रकारের উদ্ভিদ এবং প্রাণীর আবাসস্থল। এখানকার বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন ধরনের বাস্তুসংস্থান (Ecosystem) গড়ে ওঠে, যা জীববৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করে।
  • পর্যটন (Tourism): ভঙ্গিল পর্বতমালা পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। এখানকার মনোরম দৃশ্য, ট্রেকিং এবং বিভিন্ন প্রকার സാഹসিক কার্যকলাপের সুযোগ পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।

উপসংহার (Conclusion)

পরিশেষে বলা যায়, পাত সংস্থান তত্ত্বের মাধ্যমে ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি একটি জটিল এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়া। দুটি পাতের সংঘর্ষের ফলে শিলাস্তরের ভাঁজ এবং চ্যুতির মাধ্যমে এই পর্বতগুলো গঠিত হয়। ভঙ্গিল পর্বতমালা পৃথিবীর ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু এবং পরিবেশের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। এই পর্বতগুলো শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়, মানুষের জীবন এবং অর্থনীতির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জ্ঞান আমাদের পৃথিবীর গঠন এবং প্রক্রিয়াগুলো বুঝতে সহায়ক।

আশা করি, আজকের আলোচনা থেকে তোমরা ভঙ্গিল পর্বতমালা এবং এর উৎপত্তি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছ। যদি তোমাদের আরও কিছু জানার থাকে, তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে।